বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসন এবার মমতা বনাম শুভেন্দু হয়ে উঠেছে। তাই এই আসনে যে উত্তাপ যে বাড়ছে তা বলা চলে , কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে কেন বিজেপি এত গুরুত্বপূর্ণ আসনের জন্য শুভেন্দুকে বিশ্বাস করেছে?
আসলে বিজেপি জানে যে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মাধ্যমে মমতা বাংলার ক্ষমতায় জায়গা করে নিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারীও সেই আন্দোলনের অংশ। তৃণমূল যাতে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়, সেখান থেকে বিজেপি শক্তিশালী আক্রমণ চায়। শক্তিশালী ক্ষমতা বিরোধী প্রচারণার মাধ্যমে বিজেপি নন্দীগ্রামে মমতার বিরুদ্ধে সুভেন্দুকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে,
বিজেপির কৌশল ছাড়াও আরও বেশি করে তৃণমূল নেতাদের দলে রাখার পিছনে বিজেপির কৌশল ছিল যে জনগণের মধ্যে বার্তা ছিল যে তৃণমূল শেষ হচ্ছে এবং বিজেপিই একমাত্র বিকল্প। সব মিলিয়ে পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুরমোট ১৩টি লোকসভা আসন এবং ৮৬টি বিধানসভা আসন রয়েছে যেখানে সুভেন্দুকে বুথ ব্যবস্থাপনায় একজন অভিজ্ঞ নির্বাহী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তবে লোকসভা নির্বাচনে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, মালদা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর জেলার ইনচার্জ হিসেবে শুভেন্দুর খারাপ পারফরম্যান্স সত্ত্বেও বিজেপি তাঁকে বিশ্বাস করে। এখানে তৃণমূল ১৩টি আসনের মধ্যে ৯টিতে হেরেছে।
এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে যে শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিটি আন্দোলনে যিনি ছায়ার মত তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, কিন্তু ধীরে ধীরে যা ঘটেছে তা তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। বস্তুত, দলের অনেক মানুষ বিশ্বাস করেন যে যখন জেলা ইনচার্জের স্থলাভিষিক্ত হন এবং তার পুরনো সহকর্মীদের নতুন মুখ দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হয়, তখন তাদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়।
এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোভাব ের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে শুভেন্দু বিজেপির দলীয় সভায় যোগ দিতে চলে যান। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নারদ মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তদন্ত করে। এরপরই নন্দীগ্রামের ২০০ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে শো-কজ নোটিস জারি করেন মমতা। এরপর দলের উত্থানের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী দল থেকে পদত্যাগ করেন। তারপর বিজেপিতে যোগ দেন।